রোগের নামঃ মোটাইল অ্যারোমোনাস সেপ্টিসেমিয়া
Disease Name: Motile Aeromonas Septicaemia(MAS)
ব্যাকটেরিয়ার
প্রজাতিঃ Aeromonas
hydrophila
রোগের লক্ষনঃ
ü মাছের চলাফেরায় ভারসাম্যহীনতা পরিলক্ষিত হয়।
ü মাছ দূর্বল ও মুমূর্ষুভাবে পানির উপরিভাগে সাতার কাটতে থাকে।
ü চক্ষু লাল হয়ে যায়।
ü চক্ষু বাইরের দিকে স্ফীত ও কর্ণিয়া অস্বচ্ছ হয়ে যায়।
ü মাছের আইশ উঠে যায়।
ü পেটের ভিতর কালচে অথবা লাল বর্নের তরল পদার্থ জমা হয়।
ü মাছের বৃক্ক, যকৃত ও প্লীহা ফুলে যা্য়।
ü প্রতিদিন কিছু কিছু মাছ মারা যায়।
চিকিৎসাঃ
ü প্রতি শতাংশে ৩ থেকে ৪ গ্রাম পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট ও ৪০০-৫০০
গ্রাম লবন
প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে পুকুরের সকল স্থানে
প্রয়োগ করতে হবে।
ü উপরোক্ত পদ্ধতিতে মাছ মরা বন্ধ না হলে অথবা উক্ত রোগ ভাল না
হলে
অবশ্যই খাদ্যের সাথে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করতে হবে।
ü প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ১-২ গ্রাম যেকোন ব্রান্ডের
অক্সিটেট্রাসাইক্লিন এর সাথে
মিশিয়ে দিনে দুই বার করে মোট ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে।
ü বাজারে বহুল পরিচিত এন্টিবায়োটিকের মধ্যে অক্সিসেন্টিন ২০%
(নোভারটিস),
এস্কামাইসিন (এস.কে.এফ), ক্যাপটর (নোভারটিস), রেনামাইসিন (রেনাটা)
ইত্যাদির যেকোন একটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
রোগের নামঃ
স্ট্রেপ্টোকক্কোসিস
Disease Name: Streptococcosis
ব্যাকটেরিয়ার
প্রজাতিঃ Streptococcus
iniae & Enterococcus
sp.
রোগের লক্ষনঃ
ü মাছ অস্থির ও খাড়াভাবে পানির সাতার কাটতে থাকে।
ü চোখ বাইরের দিকে স্ফীত হওয়া ও কর্ণিয়া অস্বচ্ছ হয়ে যায়।
ü চোখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লালচে দাগ প্রকট হয়।
ü মাছের প্লীহা ফুলে যায় ও কালচে বর্ণ হয়।
ü যকৃত বিবর্ণ হয় ও এতে ছোপ ছোপ দাগ দেখা যায়।
ü মাছের ফুলকার রঙ অতিরিক্ত লালচে অথবা ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
ü মাছের ক্ষুধামন্দা হয়।
ü মাছের মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পায়।
চিকিৎসাঃ
ü প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ১-২ গ্রাম যেকোন ব্রান্ডের
এরিথ্রোমাইসিন এর সাথে
মিশিয়ে দিনে দুই বার করে মোট ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে।
রোগের নামঃ ভাইব্রিয়োসিস
Disease Name: Vibriosis
ব্যাকটেরিয়ার
প্রজাতিঃ Vibrio
anguillarum
রোগের লক্ষনঃ
ü তেলাপিয়ার এই রোগের লক্ষণগুলো ও মোটাইল অ্যারোমোনাস
সেপ্টিসেমিয়া
রোগের লক্ষণ প্রায় একই ধরনের যা প্রধানত পুকুরের প্রতিকূল
পরিবেশ ও
পানির খারাপ অবস্থার কারনে হয়ে থাকে।
চিকিৎসাঃ
ü প্রতি কেজি খাদ্যের সাথে ১-২ গ্রাম যেকোন ব্রান্ডের অক্সিটেট্রাসাইক্লিন
এর
সাথে মিশিয়ে দিনে দুই বার করে মোট ৩-৫ দিন খাওয়াতে
হবে।
রোগের নামঃ
কলামনারিস
Disease Name: Columnaris
ব্যাকটেরিয়ার
প্রজাতিঃ Flavobacterium
columnare
রোগের লক্ষনঃ
ü মাছের পাখনা খুবই জীর্ন মনে হয়।
ü মাছের ত্বকের বিভিন্ন স্থানে
অনিয়মিতভাবে ধূসর অথবা সাদা ছোপ
ছোপ দাগ দেখা যায়।
ü ফুলকায় পচনরূপী ক্ষত দেখতে পাওয়া
যায়।
চিকিৎসাঃ
ü প্রতি শতাংশে ৩ থেকে ৪ গ্রাম পটাশিয়াম পার ম্যাঙ্গানেট ও
৪০০-৫০০
গ্রাম লবন প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে পুকুরের সকল
স্থানে
প্রয়োগ করতে হবে।
ü আক্রান্ত মাছগুলোকে আলাদা করে
১-২ মিলিগ্রাম/লিটার অনুপাতে প্রস্তুতকৃত
তুঁতে বা কপার সালফেটের এর
দ্রবনে গোসল করাতে হবে।
ফটো ক্রেডিটঃ ইন্টারনেট।