বাংলাদেশে লবনাক্ত/অর্ধলবনাক্ত পানিতে চাষযোগ্য যে কয়েকটি চিংড়ি প্রজাতি আছে তার মধ্যে বাগদা চিংড়ি সবচেয়ে প্রসিদ্ধ। বাংলাদেশের দক্ষিন পশ্চিমাঞ্চলে বিশেষ করে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলায় এ জাতীয় চিংড়ি ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। এছাড়াও দেশের দক্ষিন পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজার জেলায়ও স্বল্পহারে বাগদা চিংড়ির চাষ হয়ে থাকে। আমাদের দেশে মূলত Peneus monodon প্রজাতির বাগদা চিংড়ির চাষ হয়ে থাকে। একে টাইগার শ্রিম্প ও বলা হয়, কারন এর খোলসে বাঘের গায়ের মত কালো ডোরাকাটা দাগ থাকে।
এরা একদিকে যেমন দ্রুত বর্ধনশীল প্রজাতি অন্যদিকে তেমনি পানির লবনাক্ততার হ্রাস-বৃদ্ধি সহনশীলও বটে। বাংলাদেশ ছাড়াও থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভারত, আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশেও এর চাষ হয়ে থাকে। একটা সময় বাগদা চিংড়ি চাষে বিভিন্ন প্রতিকূলতার কারনে উৎপাদন ক্রমাগত নিম্নমূখী হওয়ায়, চাষের ব্যপকতা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেতে থাকে। এমতবস্থায়, বিভিন্ন দেশ বাগদা চিংড়ির উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য আধা নিবিড় চাষ পদ্ধতি অনুসরন করা শুরু করে। বাংলাদশেও প্রায় এক দশক আগে প্রথম এ চাষ পদ্ধতির প্রচলন হয়। বাংলাদেশ মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রায় ২.৬৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে বাগদা চাষ হয়। বাগদা চিংড়ির আধা নিবিড় চাষ পদ্ধতিতে ২০১৪ সালে শতক প্রতি সর্বোচ্চ ৪৮ কেজি ও সর্বোনিম্ন ১২ কেজি। ২০১৫ সালে এ পদ্ধতিতে চাষ করা জমির পরিমান বেড়েছে প্রায় ৩০০ হেক্টর। অপ্রতিদ্বন্দ্বী স্বাদের কারনে দেশের বাইরেও বাংলাদেশী বাগদা চিংড়ির প্রচুর চাহিদা রয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমানে এ জাতের চিংড়ি ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে, যা থেকে অর্জিত হচ্ছে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। জাতীয় অর্থনীতিতে তাই চিংড়ি চাষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
বাগদা চিংড়ির আধা
নিবিড় চাষ পদ্ধতির ধাপসমূহঃ
চতুর্থ পর্বঃ
|
সঠিক
মজুদকালীন ব্যবস্থাপনা
|
পঞ্চম পর্বঃ
|
সঠিক
মজুদ পরবর্তী ব্যবস্থাপনা
|
ষষ্ঠ পর্বঃ
|
সঠিক
চিংড়ি আহরণ পদ্ধতি ও পরবর্তী ব্যবস্থাপনা
|