মৎস্য চাষযোগ্য পুকুরে তীব্র অক্সিজেন সংকটের প্রতিকার ।


বানিজ্যিকভাবে মৎস্য চাষ হয় এমন পুকুরে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট কারনে হঠাৎ অক্সিজেন হ্রাস এর মত ঘটনা ঘটতে পারে। এই কারনে মৎস্য চাষীকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে অন্যথায় খুব অল্প সময়ের ভিতরই বড় ধরনের মড়ক দেখা দিতে পারে। এর ফলে একজন ক্ষুদ্র চাষী চরম ক্ষতির সন্মুখীন হয়ে এই পেশা থেকেই সরে দাড়াতে পারে। 


তীব্র  অক্সিজেন এর অভাব হলে মাছ সাধারনত পানির উপরের স্তরে এসে খাবি খেতে থাকে এবং আনিয়মিতভাবে সাঁতার কাটতে কাটতে,  এক সময় নিস্তেজ হয়ে অবশেষে মারা যায়। সাধারনত সূর্য ডোবার পর থেকে ওঠার আগে পর্যন্ত পুকুরে পানিতে অক্সিজেন এর পরিমান কম থাকে। কিন্ত এই কারন ব্যতীত অন্য যে কোন কারনে পুকুরে তীব্র  অক্সিজেন এর সংকট হলে মাছ উপরোল্লিখিত সময় ছাড়াও অন্য যে কোন সময়েই খাবি খেতে পারে। 


এই অবস্থা থেকে পরত্রাণ পেতে হলে, বাজারে প্রচলিত ভাল কোম্পানীর মৎস্য ঔষধ ব্যবহার করতে হবে। বাংলাদেশের বাজারে বহুল প্রচলিত অক্সিজেন  সরবরাহকারী ঔষধ এর মধ্যে বেশীরভাগই পারক্সাইড বেসড যেমনঃ ক্যালসিয়াম পারক্সাইড, হাইড্রোজেন পারক্সাইড, সোডিয়াম পারকার্বোনেট ইত্যাদি।  উক্ত অক্সিজেন  সরবরাহকারী ঔষধ সাধারনত পাউডার, দানাদার ও ট্যাবলেট এই তিন অবস্থায় পাওয়া যায়। অক্সিফ্লো ( নোভারটিস), অক্সি-এ ( একমি), বায়োঅক্স (এসিআই) ইত্যাদি হল এ দেশের বাজারে প্রচলিত কিছু অক্সিজেন  সরবরাহকারী ঔষধ।

ঔষধ ব্যবহারবিধি
ঔষধ প্রয়োগ মাত্রাঃ
স্বাভাবিক প্রয়োগ মাত্রাঃ ৩-৪ গ্রাম/শতক
সংকটকালীন প্রয়োগ মাত্রাঃ ৬-৮ গ্রাম/শতক 
অথবা স্বীকৃত মৎস্যবিদ এর পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। 

ঔষধ প্রয়োগ পদ্ধতিঃ 
অক্সিজেন  সরবরাহকারী উপরোক্ত যে কোন একটি ঔষধ পরিমান মত পানির সাথে মিশিয়ে পুকুরে/ ঘেরে
ছিটিয়ে দিতে হবে।
Previous
Next Post »