বাণিজ্যিক মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে পানির গুনাগুন রক্ষাকারী বেশ কিছু গুরুত্তপূর্ন উপাদান আছে যেগুলি সরাসরি সামগ্রিক মৎস্য চাষকেই প্রভাবিত করে। অক্সিজেন তাদের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্তপূর্ন উপাদান।
কিছু কিছু ব্যাকটেরিয়া ব্যতীত, সকল প্রানীদের বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যিই অক্সিজেন গ্রহন করা দরকার। মানুষ বা অন্যান্য স্থলচর প্রানীদের মত মাছ সরাসরি বাতাস থেকে লাগাতার অক্সিজেন গ্রহন করতে পারে না বরং পানিতে দ্রবীভূত অক্সিজেন গ্রহন করে। বাতাস সূর্যের আলোর ঊপস্থিতিতে পানির সাথে মিশ্রিত হয়।
পানিতে অক্সিজেন এর মাত্রা, তাপমাত্রা ও সূর্যের আলোর ঊপস্থিতির সাথে সাথে প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হতে থাকে। ইহাকে প্রাত্যহিক অক্সিজেন চক্র বলে। মৎস্য চাষের ক্ষেত্রে সর্বাধিক অনুকূল দ্রবীভূত অক্সিজেন এর মাত্রা হল ৫ মি.গ্রা / লিটার যা মাছের বয়স ও প্রজাতিভেদে ভিন্ন হতে পারে।
> ঊচ্চ তাপমাত্রা (>৩২° সেলসিয়াস)
> মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া
> প্রাকৃতিক বা অন্য কোন কারণে পানি অতিরিক্ত ঘোলা হওয়া
> প্রচুর পরিমানে শৈবাল মৃত স্তূপ হিসাবে পুকুরের তলদেশে জমা হওয়া
> বিষাক্ত রাসায়নিকের দ্বারা পানি দূষণ হলে
> অতিবৃষ্টির কারনে ব্যাপক ভুমিক্ষয় হলে
পুকুরের পানিতে অক্সিজেনের মাত্রা কমার লক্ষন সমূহঃ
> পানির উপরিভাগে প্রায় সব ধরনের মাছ খাবি খাবে
> খুব কম সময়ের মাঝেই মড়ক দেখা দিতে পারে
> আকারে বড় মাছেরা, ছোট মাছের তুলনায় দ্রুত মারা যাবে
> অতিরিক্ত পানির ঘোলাত্ব
>অস্বাভাবিক ফাইটোপ্লাক্টন ব্লুম এর উপস্থিতি