সাধারন জলাশয় ও চাষযোগ্য ঘেরে/পুকুরে প্রাকৃতিক এবং বাহ্যিক, এই উভয় প্রকারেই পুকুরের তলায় অ্যামোনিয়া (NH3), হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S) সহ অন্যান্য কটু ও ঝাঝালো গন্ধযুক্ত গ্যাস উৎপন্ন হয়। উপরোক্ত গ্যাস সমূহের ভিতর অ্যামোনিয়া (NH3) ও হাইড্রোজেন সালফাইড (H2S) ই সবচেয়ে ক্ষতিকর ।
চাষযোগ্য ঘেরে/পুকুরে পানির সকল উপাদান সমুহের মধ্যে অ্যামোনিয়া গ্যাস হল, অক্সিজেনের পরে দ্বিতীয় সর্বাধিক গুরুত্পূর্ণ উপাদান যা পুকুরের জলজ পরিবেশ ও মাছের বৃ্দ্ধিকে প্রভাবিত করে। প্রাথমিকভাবে মাছের খাবারকেই অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরির অন্যতম প্রধান উৎস হিসাবে ধরা হয়। এছাড়াও জৈব বর্জ্য (যেমনঃ গাছের পাতা, গৃহপালিত প্রাণীর মল-মূত্র) ও অজৈব বর্জ্য (যেমনঃ কৃষিজমিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক সার) ও পুকুরের পানিতে অ্যামোনিয়া গ্যাস তৈরি করে।
পুকুরের পানিতে অ্যামোনিয়া মূলত দুই ধরনের রাসায়নিক বিন্যাসে অবস্থান করে - ১) আনআয়নাইজড অ্যামোনিয়া (NH3); ও ২) আয়নাইজড অ্যামোনিয়াম আয়ন (NH4+)। আনআয়নাইজড অ্যামোনিয়া হল বিষাক্ত প্রকৃতির যার অতিমাত্রায় উপস্থিতি মাছের স্বাভাবিক জীবন যাত্রাকে ব্যাহত করে, এমনকি পিএইচ (pH) ও তাপমাত্রার মাত্রারিক্ত বৈষম্যের কারনে ব্যাপকভাবে মড়ক শুরু হতে পারে। অপরদিকে আয়নাইজড অ্যামোনিয়াম আয়ন (NH4+) বিষাক্ত প্রকৃতির নয়।